দর্শনাখ্যান: নিপীড়নের বিরুদ্ধে গল্প বলার শক্তি
বর্ণনা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, এটি ক্ষমতার কাঠামো চ্যালেঞ্জ করে, সমালোচনামূলক চিন্তা উদ্দীপিত করে এবং সামাজিক পরিবর্তন ত্বরান্বিত করে।
ড. আজফার হোসেনের বই দর্শনাখ্যান, যেখানে কবিতা, ইতিহাস ও রাজনীতি এক সুত্রে গাঁথা হয়ে প্রচলিত ধ্যানধারণার বিরুদ্ধে এক তীক্ষ্ণ প্রতিবাদ গড়ে তোলে। পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, বর্ণবাদ ও পিতৃতন্ত্রের জটিল স্তর উন্মোচনে এই গ্রন্থ এক নতুন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে। ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতির অন্তঃস্থ কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, এটি আপনাকে নিয়ে যাবে এক মেধাবী অনুসন্ধানের পথে, যেখানে প্রতিটি ধারণা বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উসকে দেয়। এই গ্রন্থ পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম, দর্শনকে প্রতিরোধের হাতিয়ার করে তুলতে শেখায়।
ড. আজফার প্রচলিত দার্শনিক বয়ানকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে আন্তঃশাস্ত্রীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির উন্মোচন করেন। এই দার্শনিক মহাকাব্য কবিতাময় গদ্যের অনন্য শৈলীতে পুঁজিবাদ ও পিতৃতন্ত্রের মতো জরুরি ইস্যুগুলোকে স্পর্শ করে। তার বর্ণনা প্রচলিত সীমানা অতিক্রম করে পাঠককে এক ধরনের কৌতূহল-উদ্দীপক, কিন্তু গভীর অন্বেষণে আহ্বান জানায়। আজফার সাধারণ বস্তু, যেমন সাবানের মতো জিনিস থেকেও গভীর অর্থ আহরণ করেন, দেখিয়ে দেন কীভাবে সেগুলো সমাজে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে।
‘সাবানই সভ্যতা।’ এক সময় এটাই ছিল বহুজাতিক এক কোম্পানির শ্লোগান। ‘ছিল’ বললেই বলাটা যথেষ্ট হয় না, কেননা ওই শ্লোগান যে-সব ধারণাকে আশ্রয় করেছে এবং যে-সব ধারণার জন্ম দিয়ে তাদেরকে আবার মতাদর্শিক এবং সাংস্কৃতিক বৈধতা দিয়েছে, সে-সব ধারণা এখনো দুনিয়া জুড়ে কাজ করে চলেছে, যেমন তারা বাংলাদেশেও বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় ও অনুশীলনে বেশ জারি আছে।
সাহিত্য ও সমাজ-সমালোচনার সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন দার্শনিক চিন্তার দরজা খুলে দেন, যা একইসঙ্গে চিন্তার খেলা ও অন্তর্দৃষ্টির আহ্বান।
তাঁর বর্ণনার কেন্দ্রে রয়েছে দর্শন, ভাষা ও সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষমতার জটিল সম্পর্ক। তিনি দেখান, ভাষা কখনোই নিরপেক্ষ নয়; এটি বস্তুগত বাস্তবতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং চেতনাকে গড়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত এক রাজনৈতিক অস্ত্র। এই ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে— ভাষা কেবল নিপীড়নের কাঠামো বজায় রাখে না, বরং সেগুলো ভাঙার ক্ষমতাও রাখে। তাঁর বিশ্লেষণে দর্শন ও বয়ানের পরিবর্তনশীল শক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং নতুন এক বিপ্লবী উপলব্ধির দিকে আহ্বান জানায়।
বারবার ইতিহাসের ভেতর থেকেই দারুণ পিপাসার ছটফটানি নিয়েই ওই প্রশ্নগুলো জাগতে থাকে: ভাষা কি? কী তার ঠিকানা, কী তার সীমানা, নিশানা? ইতিহাসই বলে, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে পুরনো প্রশ্নগুলো নতুন করে জাগে এবং উত্তরের অপেক্ষায় প্রশ্নগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে দুনিয়ার সমস্ত অতৃপ্তি জড়ো করে। প্রশ্নের চাপ নিজেই আবার আমাদেরকে কোনো না কোনো পথ ধরিয়ে দেয়। আমরা হয়ত একটা পথেই আছি।
আজফারের বিশ্লেষণে আধিপত্য (hegemony) এক সূক্ষ্ম কিন্তু সর্বব্যাপী শক্তি, যা জোরজবরদস্তির মাধ্যমে নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শকে স্বাভাবিক ও আকাঙ্ক্ষিত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক কাঠামোগুলো টিকিয়ে রাখে। এই মতাদর্শগুলি এমনভাবে গৃহীত হয় যে, সেগুলো প্রশ্নাতীত সত্যে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ঔপনিবেশিক আধিপত্য আমাদের শেখায় যে ইংরেজি শিক্ষা মানেই প্রকৃত শিক্ষা, বা গায়ের রঙ ফর্সা হওয়া সৌন্দর্যের মানদণ্ড। হুসেন দেখান, কীভাবে এসব বিশ্বাস নীতি-নির্ধারণের বাইরেও আমাদের মনোজগতে প্রভাব বিস্তার করে, ব্যক্তিগত পরিচিতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রচ্ছন্ন আধিপত্যকেই চিহ্নিত ও চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে তিনি মুক্তির পথ উন্মোচন করতে চান।
তিনি ঔপনিবেশিকতার স্থায়ী প্রভাবকে চিহ্নিত করে দেখান, কীভাবে এটি সাংস্কৃতিক বয়ান ও পরিচিতির ওপর এখনো ছাপ রেখে চলেছে। তিনি যুক্তি দেন যে, ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো এমন কিছু ধারণা চাপিয়ে দিয়েছে, যা আজও আধিপত্য বিস্তার করে— যেমন ফর্সা ত্বক সৌন্দর্যের মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এই মানসিকতা এত গভীরে প্রোথিত যে, এটি ব্যক্তিগত ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে ঔপনিবেশিক মূল্যবোধের অনুকরণে উৎসাহিত করে।
…আরো ধারণা জারি আছে, যেমন: ফর্সা হওয়া মানেই সুন্দর হওয়া। এই ধারণাটাকে অবশ্য গ্রহণ করানোর জন্য সাদা চামড়ার মানুষেরা বন্দুক হাতে আমাদের বাড়ির দোরগোড়ায় বসে নেই। বরঞ্চ আমরা অনেকেই এই ধারণাটাকে গ্রহণ করে বসে আছি।
এই দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের সমালোচনার মাধ্যমে হুসেন দেখান, উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এই আদর্শগুলো পুনর্মূল্যায়নের কতটা প্রয়োজন, এবং কীভাবে একটি জাতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, যা সাম্রাজ্যবাদী চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রকৃত সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্বকে প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি পুঁজিবাদকে সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেন, যেমন সৌন্দর্যের মানদণ্ড ও ভোগ্যপণ্য। ‘সাবানই সভ্যতা’— এই রূপক ব্যবহার করে তিনি দেখান, কীভাবে পুঁজিবাদী মতাদর্শ ঔপনিবেশিক ও বর্ণবাদী বয়ানের সঙ্গে মিশে গিয়ে নির্দিষ্ট মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করে, যা মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য পরিচালিত। তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই মতাদর্শ কেবল বাহ্যিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় না, বরং অভ্যন্তরীণভাবেও আত্মস্থ হয়ে যায়, যেখানে ভোগবাদী সংস্কৃতি ব্যক্তিগত পরিচিতি, সামাজিক মর্যাদা ও সভ্যতার সংজ্ঞাকে ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। এই সমালোচনা পাঠকদের উৎসাহিত করে, যাতে তারা এসব সাংস্কৃতিক বয়ানের পেছনের অর্থনৈতিক স্বার্থ বুঝতে পারে এবং সম্ভব হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আজফার সৌন্দর্যের মানদণ্ডকে এক সামাজিক নির্মাণ হিসেবে বিশ্লেষণ করেন, যা ইতিহাস ও বর্ণবাদী মতাদর্শ দ্বারা গঠিত। এসব মানদণ্ড নির্দোষ নয়; বরং এগুলো অর্থনৈতিক শোষণের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এই আদর্শ সমাজে শ্রেণিগত ও বর্ণগত বৈষম্য টিকিয়ে রেখে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আধিপত্য নিশ্চিত করে। এই নির্মিত সৌন্দর্য-বোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে হুসেন পাঠকদের ভাবতে উৎসাহিত করেন— এসব মানদণ্ডের উৎস কোথায় এবং তাদের বাস্তবিক প্রভাব কী? তার বিশ্লেষণ সৌন্দর্যকে কোনো নিরপেক্ষ বা চিরন্তন সত্য হিসেবে নয়, বরং সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এক কাঠামো হিসেবে বোঝার আহ্বান জানায়।
তিনি ইংরেজি ভাষাকে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের এক হাতিয়ার হিসেবে বিশ্লেষণ করেন, যা সমাজে শ্রেণিবৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে। ইংরেজিকে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা আসলে ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার, যা আজও আধুনিক সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। তিনি দেখান, কীভাবে ভাষা কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অস্ত্র— যা সামাজিক শ্রেণির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং ঔপনিবেশিক মতাদর্শকে বহন করে। এই বিশ্লেষণ পাঠকদের ভাষার ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে— কীভাবে ভাষা জাতীয় পরিচয় গঠনে প্রভাব ফেলে এবং সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ প্রতিরোধে কী ভূমিকা রাখতে পারে।
‘পরিষ্কার’ কথাটা কতটা পরিষ্কার? লক্ষ না করে উপায় নেই যে, সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদের দেশে একগামিতাকে সাংস্কৃতিক ও নৈতিক দিক থেকে তুমুলভাবে উদযাপন করা হয়; তৈরি করা হয় ওই একগামিতার মতাদর্শিক আধিপত্য ও মূল্য, কেননা অনেক ‘নিরাপত্তা’র পাশাপাশি ওই একগামিতাকে নিশ্চিত করে ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ক্লিন সেক্স’। এমনকি শিল্প-পুঁজির কথাও চিন্তা করা যায় এখানে। ওই পুঁজিও বলে ‘ক্লিন মানি’ কথার, যে অর্থের মূল্য আছে। আর উপনিবেশবাদের ‘সভ্য’ করার দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রকল্প তো আছেই। যদিও উপনিবেশবাদী কলম্বাস তথাকথিত নতুন পৃথিবীতে হাজির হওয়ার মুহূর্তে ‘সাবান’ বিতরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বটে, তবুও ক্যারিবীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে ওই কথাটা বেশ চালু আছে: ‘কলম্বাস সাবানের বিনিময়ে সোনা সংগ্রহ করতে এসেছিল’।
দর্শনকে কেবল বিমূর্ত চিন্তা হিসেবে নয়, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি দেখান, দার্শনিক বয়ানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া মানেই প্রচলিত কাঠামোগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা এবং নতুন সামাজিক বাস্তবতার কল্পনা করা। তাঁর মতে, দর্শনকে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে এবং বিকল্প সামাজিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার মডেল গড়ে তুলতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি দর্শনের গুরুত্বকে নতুনভাবে চিন্তা করতে শেখায়— একে কেবল একাডেমিক চর্চার গণ্ডিতে আবদ্ধ না রেখে বাস্তব বিশ্বের সমস্যার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
মার্কসবাদ ও জার্মান তাত্ত্বিক কাঠামো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজফার বাংলা সাহিত্যকে এক নতুন বিস্তারে নিয়ে যান। বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরম্পরার সংমিশ্রণে তিনি সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতার আরও বিস্তৃত ও গভীর বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। এই বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দর্শনচর্চার পরিসরকে সম্প্রসারিত করে, যেখানে পাঠক একক মতাদর্শের বদলে বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজকে বোঝার সুযোগ পান। বিভিন্ন তত্ত্বের সংযোগ ঘটিয়ে আজফার দর্শনের পরিধিকে আরও সমৃদ্ধ করেন, যা পাঠকদের বহুশ্রুতিপূর্ণ ও আন্তঃশাস্ত্রীয় অনুসন্ধানে আহ্বান জানায়। এই পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়, কীভাবে বৈচিত্র্যময় বুদ্ধিবৃত্তিক উৎসের সংযুক্তি আরও সূক্ষ্ম ও গভীর দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তুলতে পারে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক নারীবাদী তাত্ত্বিক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক প্রায়শ বলে থাকেন যে, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ আমাদের দিয়েছে রেলপথ, রেলগাড়ি আর ইংরেজি ভাষা। এ-ও বলা যাবে, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ আমাদের সাবানও দিয়েছে, সেই সাবান যা ঘষে চামড়াকে পরিষ্কার ও সাদা করতে চায় শুধু কালো শিশু আর জমিরনই নয়, আমাদের উপনিবেশায়িত মনও।
ড. আজফার দেখান, কীভাবে বর্ণনার শক্তি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তিনি গল্প বলার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, বয়ান কেবল কাহিনি নয়; এটি প্রচলিত ক্ষমতার কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করতে, সমালোচনামূলক চিন্তাকে উসকে দিতে এবং সামাজিক পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এই ধারণা বর্ণনাকে নিছক সাহিত্যিক অনুশীলন থেকে তুলে এনে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্যের সংগ্রামের এক অপরিহার্য উপাদানে পরিণত করে। আজফার পাঠকদের আহ্বান জানান— শুধুমাত্র গল্পের ভোক্তা হয়ে নয়, বরং সক্রিয়ভাবে বর্ণনাকে পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
পরিশেষে বলতে হচ্ছে বইটির গন্ধ থেকে যায়, “আহ, গন্ধ! গন্ধ থাকেই।” “…নতুন বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে-থাকা হরফ-ভরা মেধাবী গন্ধ; মার্কস মহাশয়ের আর ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের নাকে লেগে-থাকা ঝকঝকে আর কড়কড়ে নতুন টাকার ধ্রুপদি গন্ধ।”
হ্যাপি ক্লিন রিডিং…