আমেরিকা বনাম চীন পর্ব ৩
বেইজিং এখন আর প্রতিক্রিয়াশীল বা আত্মরক্ষামূলক নয়; বরং সুযোগসন্ধানী ও কৌশলগত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
রিটন খান
প্রায় এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র যেন এক ধরনের আত্মতুষ্ট স্বপ্নে ছিল—ভাবছিল, চীন পথ হারিয়েছে। পঁয়ত্রিশ বছরের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানের পর বেইজিং হোঁচট খেয়েছে দেশের ভেতরেও, বাইরেও। নিজের সবচেয়ে উদ্ভাবনী খাতগুলোতে; প্রযুক্তি থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্র পর্যন্ত, সরকার এমন কঠোর দমননীতি চালু করল যে উদ্যোক্তারা হয় নির্বাসনে গেলেন, নয়তো চুপ করে গেলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হলো তথাকথিত ‘উলফ ওয়ারিয়র’ কূটনীতি; যে কণ্ঠস্বর এতটাই আক্রমণাত্মক, এতটাই অহংকেন্দ্রিক যে ভারতের মতো প্রতিবেশী থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত সবাই ধীরে ধীরে দূরে সরে গেল। চীন এক মহাদেশের বুকে একা দাঁড়িয়ে রইল এক আত্মতুষ্ট সাম্রাজ্য—নিজের শক্তিতে মুগ্ধ, কিন্তু নিজের প্রতিধ্বনিতেই বধির। সে যুগ শেষ। চীনের নেতারা এখন দিক পাল্টাচ্ছেন।
গত মাসে যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে “হোপ্লেস” বলে গালমন্দ করছিলেন; ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করলেন। জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি ঘোষণা করলেন এক নতুন উদ্যোগ—Global Governance Initiative—যার লক্ষ্য, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা নানা স্তরে, অর্থনীতি থেকে কূটনীতি, জলবায়ু থেকে প্রযুক্তি পর্যন্ত।
এই প্রস্তাব কেবল প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয়; এটি ছিল এক প্রতীকী পদক্ষেপ, যেন বেইজিং নিজের অবস্থানকে সুপারপাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ট্রাম্প যেখানে প্রতিটি মঞ্চকে আত্মপ্রচার ও ক্ষোভ প্রকাশের থিয়েটারে পরিণত করেন, সেখানে শি নিজেকে উপস্থাপন করেন সভ্যতার স্থপতি হিসেবে; যিনি বিশৃঙ্খল বিশ্বে ‘নতুন নিয়ম’ লিখতে চান।
যখন আমেরিকা ক্রমেই আত্মমগ্ন এক প্রটেকশনিস্ট নীতিতে আরও গভীরে ঢুকে পড়ছে—বিদেশি নির্মিত চলচ্চিত্রের ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছে, তখন চীন উল্টো পথে হাঁটছে। গত সপ্তাহে বেইজিং ঘোষণা করল, তারা আর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কোনো বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে না। যে ছাড়টা কয়েক দশক ধরে মুক্তবাণিজ্যের পক্ষের নীতিনির্ধারকেরা দাবি করে আসছিলেন।
অর্থাৎ, যখন যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোর ওপর চেপে বসছে অবরুদ্ধকর শুল্কের ভারে, তখন চীন হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে উন্মুক্ত বাণিজ্যের প্রতিশ্রুতি। যে দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্কে আছে, বিশেষত সবচেয়ে দরিদ্র ও কিছু মধ্যম আয়ের দেশ, তাদের জন্য শূন্য শুল্কভিত্তিক বাণিজ্য চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এই তালিকায় আছে আফ্রিকার ৫৩টি দেশ; বিশ্বব্যবস্থার পুরোনো নায়ক যখন সীমানা টানছে, নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী তখন বাণিজ্যের দরজা খুলে দিচ্ছে আমন্ত্রণের মতো।
সম্প্রতি Foreign Affairs-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে জুলিয়ান গেভির্টজ ও জেফ্রি প্রেসকট লিখেছেন—বেইজিং এখন আর প্রতিক্রিয়াশীল বা আত্মরক্ষামূলক নয়; বরং সুযোগসন্ধানী ও কৌশলগত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ওয়াশিংটনের আচরণ; একদিকে বন্ধুত্বের মুখোশ পরে, অন্যদিকে বাণিজ্যযুদ্ধের তীর ছুঁড়ে—বিশ্বের মিত্র ও প্রতিপক্ষ উভয়কেই বিপাকে ফেলেছে। কেউ জানে না কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, কারণ মার্কিন নীতি এখন একরকম দৈবচক্রে ঘুরছে: আজ শুল্ক, কাল গালি, পরশু নিষেধাজ্ঞা।
এই অস্থিরতার মাঝে চীন নিজেকে তুলে ধরছে “সিরিয়াস” ও “বিশ্বাসযোগ্য” রাষ্ট্র হিসেবে; যার নীতি ধারাবাহিক, পূর্বানুমেয়, এবং যা এক বিশ্বব্যবস্থার স্থিতিশীল স্তম্ভ হতে চায়। যেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে একদিকে আমেরিকা খেলে আবেগের নাটক, আর অন্যদিকে চীন বসে আছে হিসাবের দাবার বোর্ডে; চুপচাপ, কিন্তু প্রতিটি চাল কৌশলে পরিমিত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র এখন প্রযুক্তি। আর এই মঞ্চে চীন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খাতে দখল প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষ করে গ্রিন এনার্জিতে; সৌরপ্যানেল থেকে শুরু করে ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক গাড়ি পর্যন্ত বেইজিংয়ের প্রভাব এখন প্রায় একচ্ছত্র।
এই প্রযুক্তিগুলো শুধু শিল্প বা পরিবেশগত সাফল্যের প্রতীক নয়; এগুলো এখন ভূরাজনৈতিক অস্ত্রও। চীন লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোকে দিচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, ব্যাটারি কারখানা, বৈদ্যুতিক বাস; এ যেন প্রযুক্তির বিনিময়ে প্রভাব বিস্তারের এক নরম উপনিবেশিক কৌশল।
Bloomberg-এর সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি খাতের মধ্যে চীন ৫টিতে নেতৃত্বে, আর আরও ৭টিতে দ্রুতগতিতে ধাওয়া করছে। অর্থাৎ, যে দুনিয়ায় একসময় “মেড ইন চায়না” মানে ছিল সস্তা শ্রমের পণ্য, সেই চীন এখন “ডিজাইনড ইন চায়না” যুগে প্রবেশ করেছে—যেখানে মস্তিষ্ক, মূলধন ও মিশন—সব একসঙ্গে সংহত। তবু এক জায়গায় ওয়াশিংটনের এখনো বিশ্বাস; তাদের প্রাধান্য অটুট: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence।
আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলো—OpenAI, Anthropic, Google—এই পাগলাটে প্রতিযোগিতার সামনের সারিতে, যেখানে লক্ষ্য হলো Artificial General Intelligence (AGI), অর্থাৎ এমন এক যন্ত্রবুদ্ধি যা মানুষের সমান বা তারও ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে সক্ষম হবে। তবে বাস্তবতা হলো, এই “AGI” এখনো এক ধরনের মায়াবী ধারণা—অধরা স্বপ্নের মতো। এর সংজ্ঞাই এখনো অস্পষ্ট, এবং কেউই নিশ্চিত নয়, এই প্রতিযোগিতায় “জয়ী হওয়া” মানে আদৌ কী। এটি যেন শীতল যুদ্ধের নতুন সংস্করণ। রকেটের বদলে অ্যালগরিদম, পারমাণবিক অস্ত্রের বদলে নিউরাল নেটওয়ার্ক। আর প্রতিটি দেশ এখন প্রশ্ন করছে—যদি মেশিনই চিন্তা করতে শেখে, তবে মানুষ থাকবে কোথায়?
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি আমেরিকার থেকে একেবারে আলাদা। প্রায় দার্শনিকভাবে বিপরীত। ওয়াশিংটন যেখানে ধাওয়া করছে কল্পিত ভবিষ্যৎ, অর্থাৎ AGI—এক সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান যন্ত্রমানবের স্বপ্ন। সেখানে বেইজিং মনোযোগ দিচ্ছে বাস্তব প্রয়োগে, আজকের প্রযুক্তিকে আজকের জীবনের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে।
চীনের লক্ষ্য স্পষ্ট: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অর্থনীতি ও সমাজের প্রতিটি শিরায় প্রবাহিত করা। সরবরাহ ব্যবস্থায়, নজরদারিতে, স্মার্ট সিটিতে, স্বাস্থ্যসেবায়, ড্রোন ও রোবটের মাধ্যমে, প্রত্যেক খাতে AI-এর উপস্থিতি যেন শিরদাঁড়ার মতো অপরিহার্য হয়ে উঠছে।
এই কৌশল শুধু গবেষণার জন্য নয়; এটি একধরনের শিল্প বিপ্লব ২.০—যেখানে AI কল্পনাকে নয়, উৎপাদনশীলতাকে রূপান্তরিত করে। এর ফলাফলও স্পষ্ট: দ্রুত অর্থনৈতিক রিটার্ন, উচ্চতর দক্ষতা, এবং এক এমন দৈনন্দিন জীবন, যেখানে মানুষ ও মেশিনের সীমারেখা ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
চীন শুধু প্রযুক্তি নয়, গ্রহণের মডেলেও বেছে নিয়েছে ভিন্ন পথ। যেখানে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের frontier model গুলোকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে প্রোপ্রাইটারি দেয়ালের পেছনে—সেখানে চীনা কোম্পানিগুলো উল্টো দরজা খুলে দিচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ DeepSeek—একটি ওপেন এআই সিস্টেম, যা সহজেই মানিয়ে নেওয়া যায়, স্থাপন করা যায়, পরিবর্তন করা যায়।
এ এক অদ্ভুত যুগান্তরের ব্যঙ্গচিত্র—যে রাষ্ট্র একসময় আইরন কার্টনে বিশ্বাস করত, সেই “কমিউনিস্ট চীন” এখন খোলামেলা প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের পক্ষে; আর “স্বাধীন বাজারের আমেরিকা” তার প্রযুক্তিকে গোপন দুর্গে বন্দি করে রেখেছে।
এই কৌশল চীনকে শুধু প্রযুক্তিতে নয়, বিশ্বমঞ্চে মানদণ্ড নির্ধারক শক্তিতে পরিণত করতে পারে—বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানে সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সস্তা, নমনীয় এবং কাস্টমাইজযোগ্য সরঞ্জামের খোঁজে থাকে। এর সঙ্গে যোগ করুন হুয়াওয়ের দ্রুত বিকাশমান 6G নেটওয়ার্ক আধিপত্য—তাহলে খুব সম্ভবত, আগামী দশকের প্রযুক্তিগত লিডার হবে “মেড ইন চায়না,” আর বাকি দুনিয়া কেবল তার প্রতিফলনে নিজেদের দেখতে পাবে।
চীনের প্রযুক্তিগত কৌশলকে ভয়ংকর কার্যকর করে তুলেছে তার আন্তঃবিভাগীয় সংহতি। যেখানে AI কেবল সফটওয়্যার নয়, অবকাঠামো ও শহুরে জীবনের সঙ্গেও একীভূত। চীন শুধু মডেল বানাচ্ছে না, সেগুলোকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে রোবটের শরীরে, কংক্রিটের কাঠামোয়, ট্রাফিক সিগন্যালে, ডেলিভারি ড্রোনে—পুরো সভ্যতার শিরায়।
যেমন ধরুন রোবোটিক্সকেই। চীনা কোম্পানিগুলো এখন তৈরি করছে মানুষ-সদৃশ (humanoid) এবং চারপেয়ে (quadruped) যন্ত্রমানব, যাদের শরীরে বসানো আছে অজস্র সেন্সর—যেগুলো তাদের “দেখতে” ও “ভাবতে” শেখাচ্ছে বাস্তব পরিবেশে। মাত্র গত বছরেই চীন যত শিল্প রোবট স্থাপন করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় নয়গুণ। সংখ্যা নয়, প্রতীকের দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ—কারণ এই প্রবণতা দেখায়, চীন এখন ভবিষ্যৎকে আমদানি করছে না, নিজেই তা নির্মাণ করছে। এটা এক যান্ত্রিক আধুনিকতা, যেখানে লোহা, কোড আর নীতি মিশে গেছে একই ছন্দে।
অথবা ধরা যাক ড্রোন আর উড়ন্ত গাড়ি। চীন এখন গড়ে তুলছে এক নতুন ধারণা, যাকে তারা বলছে “লো-অল্টিটিউড ইকোনমি”—অর্থাৎ শহরের আকাশকেও বানিয়ে ফেলছে বাণিজ্য ও চলাচলের নতুন পরিসর, যেখানে স্বয়ংক্রিয় আকাশযান চলবে মানুষের বদলে অ্যালগরিদমের নিয়ন্ত্রণে। শেনজেনে ড্রোন ইতিমধ্যেই প্যাকেজ পৌঁছে দিচ্ছে; গুয়াংজৌতে EHang-এর স্বয়ংচালিত উড়ন্ত গাড়ি যাত্রী বহন শুরু করেছে। এখানেও মূল শক্তি “একীভূতকরণ”—সেন্সর, এআই, হার্ডওয়্যার আর প্রশাসনিক নিয়মকানুন—সব এক সুরে বাঁধা। যেন রাষ্ট্র, প্রযুক্তি ও পুঁজির এক ত্রিমুখী সিম্ফনি, যার সঙ্গীতে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন আকাশসভ্যতা; যেখানে উড়ে চলা আর কল্পনা নয়, দৈনন্দিন বাস্তবতা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চিত্রটা ট্র্যাজিক কমেডির মতো। মৌলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সরকারি অনুদান কাটা গেছে ধারালো ছুরির মতো, আর দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঘেরাও পড়েছে রাজনৈতিক যুদ্ধে। সরকার এখন এমন পর্যায়ে যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ডের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে—যেন জ্ঞানের দুর্গকে ভেঙে ফেললেই নাকি সভ্যতা “শুদ্ধ” হবে।
ওয়াশিংটনে সরকার যখন কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে, তখন প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শত শত জেনারেলকে ডেকে পাঠালেন বক্তৃতা দিতে—“শরীর ফিট রাখো, ওয়োক চিন্তাধারার সঙ্গে লড়ো।” এই দৃশ্য এক গভীর আত্মবিভ্রান্তির প্রতিচ্ছবি, যেখানে একটি পরাশক্তি প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়েছে আত্মরক্ষার ভ্রান্ত নাটকে। দুনিয়া এগোচ্ছে, আর আমেরিকা এখনো আয়নায় নিজের মুখ নিয়ে ব্যস্ত।
দ্য নোবেল গোজ টু লাসলো ক্রাসনাহোরকাই
লিটারেচারের ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরীয় লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। “তার মনোমুগ্ধকর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সাহিত্যকর্মের জন্য, যা মহাপ্রলয়ের আতঙ্কের মাঝেও শিল্পের ক্ষমতাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।”