পশ্চিমা সভ্যতার দুর্বলতা
তারিক আলি: “তোমাদের ভবিষ্যৎ তোমাদেরই হাতে, সব অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতেই হবে”

পশ্চিমা সভ্যতার দুর্বলতা
তারিক আলি
পাকিস্তানি-ব্রিটিশ রাজনৈতিক কর্মী, লেখক, সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তারিক আলি গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ কানাডার সেন্ট থমাস ইউনিভার্সিটিতে "পশ্চিমা সভ্যতার দুর্বলতা" (The Frailties of Western Civilization) এবং এর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তৃতা দেন। আটলান্টিক হিউম্যান রাইটস সেন্টার ও এসটিইউর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শ্রোতাদের সমাগম ঘটে। তবে আলি সরাসরি তরুণদের উদ্দেশ্য করেই বলেন, "রাজনীতিকরা বা অন্য কেউ যদি বলে তোমরা যা ভাবতে চাও তা ভাবতে পারবে না, তাহলে ভয় পেয়ো না।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "এটা কখনোই মেনে নিও না। কারণ, তোমাদের ভবিষ্যৎ এবং পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ তোমাদেরই হাতে। নিজেদের সব অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতেই হবে, এবং করা উচিত।" তারিক আলি বিশ্ব রাজনীতি ও ইতিহাস নিয়ে ৫০টিরও বেশি গ্রন্থ লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে Bush in Babylon, The Clash of Fundamentalisms এবং The Obama Syndrome। সম্প্রতি তিনি নিজের স্মৃতিকথা You Can’t Please All প্রকাশ করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সরাসরি তারিক আলির বক্তৃতা শোনার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছিল। আমি আয়োজকদের কাছে বক্তৃতাটির একটি লিখিত কপি আশা করেছিলাম কিন্তু সেটি লিখিত বক্তৃতা না হওয়ার কারণে পাওয়া সম্ভব হয়নি। আমি বক্তৃতাটির অডিও আমার ফোনে ধারণ করি এবং সেখান থেকে বক্তৃতাটির একটি বাংলা ভাষান্তর এখানে তুলে ধরছি। - রিটন খান
পশ্চিমা সভ্যতার দুর্বলতা
শুভ সন্ধ্যা। আবারও শীতকালে কানাডায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। এখানে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি যখন থেকে এই দেশ ভ্রমণ করছি—সত্তরের দশকের গোড়ার দিক থেকে—বেশিরভাগ সময়ই তা শীতকালে হয়েছে। কোনো এক কারণে, তারা আমাকে গ্রীষ্মের কানাডা দেখতে দিতে চায় না। তারা হয়তো ভাবে আমি হতবাক হয়ে যাব!
আজ আমি যে বিষয়টি বেছে নিয়েছি, তার কারণ স্পষ্ট, এবং আমি পরে আমার বক্তৃতায় এ বিষয়ে ফিরে আসব।
গত এক বছর ধরে আমরা এমন এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি, যাকে জাতিসংঘসহ প্রায় সব মানবাধিকার সংস্থা—অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু সংগঠন—"গণহত্যা" বলে আখ্যা দিয়েছে। আর এটিই ব্যাপক বিতর্ক ও আলোড়নের জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলের সমর্থকরা, যারা প্রকৃতপক্ষে ভালো বন্ধু হতে পারত, তারা "যথেষ্ট হয়েছে!" বলা তো দূরের কথা, বরং বিনা প্রশ্নে সমর্থন দিয়ে চলেছে। অথচ প্রকৃত বন্ধুর কাজ হলো সতর্ক করা—"এমন কিছু কোরো না, যা তোমার নিজের ধ্বংসের কারণ হতে পারে—আজ না হোক, পাঁচ বা দশ বছরের মধ্যে।" কিন্তু তারা সে পথে হাঁটেনি।
আমরা যে পৃথিবীতে বাস করছি, তা ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে—আর এখানে আমি মূলত পশ্চিমা বিশ্বকেই বোঝাচ্ছি।
যখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও, বিশেষত তরুণদের, কোনো সংকট নিয়ে তাদের মত প্রকাশ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে, তখন বুঝতে হবে—এটি এক নতুন বাস্তবতা। এমনটা আগে কখনো ঘটেনি।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ও এটি দেখা যায়নি। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই বিপুল আন্দোলন হয়েছিল, যা অনেকের মনে থাকবে। ১৯৭১ সালে পেন্টাগনের বাইরে বিশাল এক মিছিল হয়েছিল, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ ছিলেন স্বয়ং মার্কিন সেনারা—কেউ ইউনিফর্ম পরা, কেউ হাত-পা হারানো, কিন্তু বুকে যুদ্ধের মেডেল ঝুলিয়ে তারা দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তারা পেন্টাগনের সামনে এসে দাবি জানিয়েছিলেন যুদ্ধ বন্ধের। তারা স্পষ্ট করে বলেছিলেন—ভিয়েতনামিরাই এ যুদ্ধ জিতবে।
নিশ্চয়ই, তাদের বিরোধিতা করা হয়েছিল। তারা হামলার শিকারও হয়েছেন। কিন্তু তখন কেউ বলেনি, "তোমরা এটা বলতে পারবে না, কারণ এটা আমেরিকাবিরোধী,"—যেভাবে আজ মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের বলা হচ্ছে।
আমি একটি উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করতে চাই।
১৯৩৬ বা '৩৭ সালে, Life ম্যাগাজিনের এক মার্কিন সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার, ভারতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। প্রথম প্রশ্নই ছিল, "আপনি পশ্চিমা সভ্যতা সম্পর্কে কী মনে করেন?"
গান্ধি ধীর স্বরে উত্তর দিয়েছিলেন, "এটা ভালো একটা ধারণা হতে পারে।"
আমি কখনো এই কথাটি ভুলতে পারিনি। বহু বছর আগে পড়েছিলাম, আর তখনই হেসে ফেলেছিলাম। কারণ, গান্ধি সাধারণত কৌতুকপ্রিয় মানুষ ছিলেন না। তিনি কখনো কখনো বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য করতেন, কিন্তু এটি ছিল সত্যিকারের এক চিরন্তন উক্তি।
আমি যা বলতে চাই, তা হলো—সভ্যতা আসলে কী, তারা কারা, তারা নিজেদের কীভাবে সংজ্ঞায়িত করে, বা অন্যরা তাদের কীভাবে দেখে—এসব কিছুই তুলনামূলকভাবে স্বল্পস্থায়ী ব্যাপার।
প্রাচীনকাল থেকেই আমরা সভ্যতার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানি—রোমান সভ্যতা, তাদের শিল্প, সংস্কৃতি, কবিতা এবং অন্যান্য বহু ক্ষেত্রের অবদান আজও টিকে আছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কোনো সভ্যতাই চিরস্থায়ী নয়।
কিন্তু ইতিহাসের বইগুলোতে অনালোচিত একটি সময়কালও আছে, যেটি আমি বলব—৯ম থেকে ১১শ শতকের সময়কাল, যখন পশ্চিমা বিশ্বে (পূর্বে নয়) ইসলামি সভ্যতার প্রভাব ছিল প্রবল।
এই সময় স্পেন, পর্তুগাল, ইতালির কিছু অংশ এবং ফ্রান্সের ক্ষুদ্র অঞ্চল ইসলামী শাসনের অধীনে ছিল। আজকের দিনে এটি মনে করানো জরুরি যে, ইহুদি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন তারা সবচেয়ে কম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তা ছিল ইসলামি স্পেনে, আরব শাসনের অধীনে। তারা নিজেরাই এ নিয়ে লিখেছেন।
সেই সমাজে খ্রিস্টধর্ম, ইহুদি ধর্ম, এবং ইসলাম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছিল। শাসক শ্রেণি ছিল ইসলামি, মূলত আরবরা, কিন্তু তারা বিতর্ক করত, আলোচনা করত, পরস্পরের সঙ্গে তর্ক করত—একটি বৌদ্ধিক পরিবেশে।
ক্যাথলিকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত, এই সহাবস্থান চলছিল। কিন্তু ১৪৯২ সালে ইহুদিদের স্পেন ও পর্তুগাল থেকে বিতাড়িত করা হয়, এবং ১৫২৬ সালে মুসলমানদেরও বহিষ্কার করা হয়।
তাদের সামনে মাত্র তিনটি পথ খোলা ছিল—খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করো, মরে যাও, অথবা দেশ ছাড়ো।
স্পেনের রাজা নিজেও পরে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, "তাদের কীভাবে বিতাড়িত করা হলো? তারা তো আমাদের মতোই স্পেনীয় ছিল!"
কিন্তু তাতেও কিছুই বদলায়নি। তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়, এবং অনেকেই সেই পথে প্রাণ হারায়।
এই ইতিহাস পশ্চিমা বিশ্বের পাঠ্যপুস্তকে খুব কমই স্থান পেয়েছে, অথচ এটি গভীরভাবে প্রভাব রেখেছে।
গণিত, বীজগণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান—এই সব ক্ষেত্রেই ইসলামী সভ্যতা কয়েক শতক ধরে অগ্রগতি এনেছে।
আজ আমরা যে বহু গ্রিক গ্রন্থ পড়তে পারি, তা সম্ভব হয়েছে কারণ সেগুলো প্রাচীন গ্রিক থেকে আরবিতে অনূদিত হয়েছিল। পরে অনেক গ্রন্থ বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিন্তু আরবি অনুবাদগুলোর মাধ্যমে বহু জ্ঞান সংরক্ষিত থাকে।
অর্থাৎ, পশ্চিমা সভ্যতার বিকাশে ইসলামি সভ্যতার বড় ভূমিকা ছিল, যা শিল্পবিপ্লবের আগ পর্যন্ত এক গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানতাত্ত্বিক সংমিশ্রণ গড়ে তুলেছিল।
আন্তর্জাতিক আইনের প্রাথমিক তাত্ত্বিকেরা তাদের উপনিবেশবাদী আগ্রাসনকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য "উন্নততর সভ্যতা" হওয়ার দাবিকে হাতিয়ার করেছিল।
স্প্যানিশ দার্শনিক ফ্রান্সিসকো দে ভিতোরিয়া দক্ষিণ আমেরিকার দখলকে পোপ, ধর্ম বা ঈশ্বরের বিধানের যুক্তিতে নয়, বরং এক ভিন্ন আইনি ভিত্তিতে বৈধতা দেন।
তিনি বলেছিলেন, "দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীরা যোগাযোগের আইন লঙ্ঘন করেছে।"
কিন্তু এই "যোগাযোগের আইন" আসলে কী?
এর অর্থ ছিল নির্বিচারে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং বাণিজ্যের স্বাধীনতা।
অর্থাৎ, যা কিছু স্প্যানিশ বিজেতাদের বাধাগ্রস্ত করছিল—আদিবাসীদের ভূমি দখল, জোরপূর্বক বাণিজ্য চাপিয়ে দেওয়া, এবং তাদের হত্যার প্রক্রিয়া—তাই-ই উপনিবেশবাদী নীতির ন্যায়সঙ্গত কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ওয়াল্টার গ্রোটিয়াস, ডাচ তাত্ত্বিক, একই ধরনের যুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি জলদস্যুতাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন, দাবি করে যে আন্তর্জাতিক জলভাগকে রাষ্ট্র ও বেসরকারি সশস্ত্র কোম্পানির জন্য মুক্ত অঞ্চল হিসেবে গণ্য করা উচিত।
তিনি লিখেছিলেন, "তলোয়ারের অধিকারই হলো শাস্তি প্রদানের অধিকার। রাজারা এবং যারা রাজাসম ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তারা কেবল নিজেদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায়ের জন্যই নয়, বরং প্রকৃতি বা জাতির আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের প্রতিও শাস্তি দিতে পারে।"
অর্থাৎ, এটি ছিল ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণকে বৈধতা দেওয়ার এক প্রকাশ্য ছাড়পত্র—যার মাধ্যমে যে কেউ আক্রমণ, দখল বা হত্যা করতে পারত, যদি তারা ইউরোপীয় আগ্রাসনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াত।
অর্থাৎ, সভ্যতা ব্যাখ্যা করার প্রতিটি প্রচেষ্টা মূলত ঔপনিবেশিকতা, সম্প্রসারণবাদ এবং আদিবাসীদের ওপর যেকোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
এটি সম্ভব হয়েছিল কারণ সবচেয়ে ছোট মহাদেশের একটি ক্ষুদ্র অংশ—ইউরোপ—শিল্পবিপ্লবের সূচনা করেছিল, আধুনিক অস্ত্র তৈরি করেছিল এবং পুরো বিশ্বকে দখল করেছিল।
এদিকে, বিশ্বের অন্য প্রান্তে চীনা সভ্যতা অনেক আগেই শাসনব্যবস্থার তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছিল।
প্রাচীন চীনা গ্রন্থগুলোতে রাজতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল ইউরোপের বহু আগে। তারা সাক্ষরতা ও জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল, যা আজও চীনকে একটি বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে।
অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্ব এক গভীর সংকটের মুখে। এটি হয়তো অপরিহার্য পতনের পথে নয়, তবে নিঃসন্দেহে নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
পশ্চিমা সভ্যতার সর্ববৃহৎ নৈতিক বিপর্যয় আজ গাজায় যা ঘটছে, তার মধ্যেই স্পষ্ট।
আমরা প্রত্যক্ষ করছি—একটি গণহত্যা, যা পশ্চিমা শক্তিগুলো উপেক্ষা করছে, যৌক্তিকতা দাঁড় করাচ্ছে, এমনকি কখনো কখনো তা উসকে দিচ্ছে।
ভিয়েতনামে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিল। ইরাকেও লক্ষ লক্ষ প্রাণ হারিয়েছে। লিবিয়া ও সিরিয়ায় দশকের পর দশক ধরে রক্তপাত চলেছে।
কিন্তু এইবার, গাজার ক্ষেত্রে, আমরা প্রতিদিন এটি প্রত্যক্ষ করছি।
আমাদের ফোনের স্ক্রিনে, আমরা দেখি ইসরায়েলি সেনারা নির্মম আনন্দে শিশুদের হত্যা করছে।
তারপরও পশ্চিমা বিশ্ব প্রায় নিশ্চুপ।
তবে সবচেয়ে দৃঢ় প্রতিবাদের কণ্ঠ এসেছে নিউইয়র্কের তরুণ ইহুদি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
তারা গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশন দখল করে বলেছে—"এটি আমাদের দায়িত্ব। আমাদের ওপর ছেড়ে দিন।"
কিন্তু তাদের কথাও উপেক্ষা করা হচ্ছে, কখনোবা দুশ্চরিত্রায়িত করা হচ্ছে।
এটার শেষ কোথায়?
কোন সভ্যতা এমন নৃশংসতাকে অনুমোদন দেয়?
যদি পশ্চিমা সভ্যতা "কখনোই আর নয়"—অর্থাৎ, গণহত্যাকে কখনোই সহ্য করা যাবে না—এই মৌলিক নীতিটুকুও রক্ষা করতে না পারে, তাহলে আদৌ এর থেকে কী অবশিষ্ট থাকে?
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে আমি বলছি: কাউকে বলেতে দিও না, কী ভাবতে পারবে আর কী পারবে না।
তোমাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে—এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
নিজে ভাবার স্বাধীনতা, নিজস্ব মত গঠনের অধিকার, সেই বইগুলো পড়ার অধিকার যেগুলো তারা নিষিদ্ধ করতে চায়, সত্য উচ্চারণের অধিকার—যেন তাৎক্ষণিকভাবে ‘বিরোধী’ বা ‘বিদ্বেষী’ তকমা না জোটে—এগুলো তোমাদের অধিকার।
তোমাদের ভবিষ্যৎ, এবং তোমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ, তোমাদেরই হাতে।
তাই প্রতিরোধ গড়ে তোলো।
কারণ যদি তোমরা না দাঁড়াও, তাহলে তারা যা খুশি করে যেতে থাকবে—এবং শেষ পর্যন্ত, তারা এই পৃথিবীকেই ধ্বংস করে ফেলবে।
ধন্যবাদ।